cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন থেকে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে অসংখ্য বাস-ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ৪০২টিতে আগুন ও প্রায় ৫০০টি যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় আগুনে পুড়ে যাওয়া এবং ভাঙচুর করা যানবাহনের ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে একটি আবেদন পত্র প্রেরণ করেছে।
ক্ষতিপূরণের আবেদনে, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ২১৫টি গাড়ির মালিকের আবেদন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন যাচাই-বাছাই করে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য গত ১ জানুয়ারি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময়ও এভাবে গণহারে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছিল। তখন নির্বাচনের পর ক্ষতিগ্রস্ত বাসমালিকদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়। ক্ষতিপূরণও পেয়েছিলেন মালিকরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিদগ্ধ বড় বাসের ক্ষেত্রে ৩০ লাখ ও ছোট বাসের ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা ক্ষতি ধরা হয়েছে। এছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুরে ক্ষতি ধরা হয়েছে। এছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুরে ক্ষতি ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। আর বাস ভাঙচুরে ২ লাখ টাকা ক্ষতি ধরে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করার সময় বাসের রুট পারমিট, ফিটনেসসহ যাবতীয় কাগজপত্র দেখে একেকটার ক্ষতিপূরণ সর্বনিম্ন হারে একেকভাবে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি থেকে জানা গেছে, হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রতিদিনই আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের কাগজপত্র নিয়ে সমিতির কার্যালয়ে আসেন মালিকরা। তখন তাদের কাগজপত্র ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। কোনো কাগজ কম থাকলে তাদের ক্ষতিপূরণের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।
পরিবহন মালিক সমিতির সূত্রে আরও জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে ঢাকাসহ সারা দেশে যান চলাচল কম ছিল। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাবে এই সময়ে ঢাকায় গড়ে ২০ শতাংশ গণপরিবহন বন্ধ ছিল। এতে ৪২২ কোটি টাকার ক্ষতি ধরা হয়েছে। আর একই সময়ে ঢাকার বাইরে ৬০ শতাংশ বাসে যাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিল। এতে ক্ষতি ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গড়ে ৪০ শতাংশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় ৬ হাজার ২৫১ কোটি ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এসবের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়নি।